কিভাবে কাটলও ২০২২ সালটা?
কিভাবে কাটলও ২০২২ সালটা?
২০২২ সাল প্রায় শেষের দিকে
কিভাবে কাটলও এই বছরটা?
কি কি জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি এই বছর?
- এই বছরের শুরুটা খুব ভালো গিয়েছে। একটি সেমিনারের আয়োজন করেছিলাম
"On research: what it is and how it is done". Honorable Keynote Speaker: Professor Dr Salah Hasan Naqib
- দুই দিনের ট্রেনিংএ করে ছিলাম
1. Training on Compliance of Accreditation Standards and Criteria organized by Bangladesh Accreditation Council, Dhaka-1000
2. Training on BNQF for Quality Enhancement of Higher Education organized by Bangladesh Accreditation Council, Dhaka-1000
- জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কর্তৃক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিলও “ Research and Funding Opportunities on Energy and Power”। সেমিনারের প্রধান বক্তা ছিলেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, লেকচারার, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সেখানে ছিলাম। অনেক কিছু জেনেছি।
- জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২দিন ব্যাপী Science Fair 2022 আয়োজনে ছিলাম। এই মেলায় আমার জীবনে প্রথম তিন প্রজেক্টে সুপারভাইজার হিসাবে ছিলাম। অনেক কিছু শিখেছি।
- জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সফটওয়ার ভিত্তিক থিসিস পরিচালনা করেছি। যা আমার কাছে একেবারে নতুন। সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি আমার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু আতিকুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
- জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শরীয়তপুর ম্যাথ সার্কেল এর উদ্যোগে ১৭ অক্টোবর ২য় শরীয়তপুর গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজনে ছিলাম।
- শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেখানে গিয়েছিলাম।
- আরডুইনো এবং রোবটিক্স এর উপর তিন দিনব্যাপী জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাজারুল ইসলাম স্যারের উদ্যোগে ওয়ার্কশপ আয়োজিত হয়েছিলো। সেখানে কিছুটা ছিলাম ও অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।
- প্রায় দেড়-মাস MS Office Application একটি ওয়ার্কশপ পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছি।
এই বছরের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত
- আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গিয়েছে।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু বই গিফট করেছিলাম।
- সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটি পাওয়া।
- পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
এই বছরের সবচেয়ে কষ্টের মুহূর্ত
- আমার এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু সংবাদ।
ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে মাতামাতি
ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে মাতামাতি
সময়ের সাথে সাথে কত কিছু পরিবর্তন হয়…………
১৯৯৮ সালে যখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন ফুটবল খেলা খুব একটা বুঝি না। শুনে ছিলাম ফাইনালে ফান্সের কাছে ৩ – ০ গোলে ব্রাজিল হেরেছে। মানুষের মুখের কথা ব্রাজিল নাকি টাকা খেয়েছে বা ফান্সের গোলকিপারের জাদু আছে সে নাকি ফুঁ দিয়ে বল আটকিয়ে ফেলতো।
এবার আসি ২০০২ এর সালে ফুটবল বিশ্বকাপের প্রসঙ্গে। মোটামুটি আমি সব বুঝি। ২০০৩ সালে এসএসসির পরীক্ষার্থী ছিলাম। এই সময়ে ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনা ছিল একটু অন্যরকম। প্রিয় দলের জার্সির চেয়ে খেলোয়াড়দের ভিউ-কার্ড বা এক পেজের ক্যালেন্ডারের মত ছবি বেশি বিক্রি হতো। সকলে ছবি কিনে ঘরের বেড়ায় আটা দিয়ে লাগিয়ে রাখতো।
সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ছিলো পতাকা টাঙানো। কে কার চেয়ে উপরে পতাকা টাঙাবে। কাঁঠাল গাছের উপরে বাঁশ দিয়ে পতাকা টাঙানো হতো বিভিন্ন দেশের পতাকা । দেখে খুব ভালো লাগতো। আরেকটা আনন্দের বিষয় ছিলো পতাকা দেওয়ালে বা রাস্তার উপর আকানো।
আমাদের শৈশব সময়ে ব্রাজিলের খুব নাম ডাক ছিলো কারণ ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ পর পর তিনটি ফুটবল বিশ্বকাপে ব্রাজিল ফাইনালে খেলেছে এর মধ্যে দুইটি বিশ্বকাপ জিতেছে। তাই ব্রাজিলের সাপোর্টার ছিলাম। তাছাড়া আমার মামারা ব্রাজিল সাপোর্ট করতো সেই থেকে ব্রাজিলের সাপোর্টার।
২০০২ এর বিশ্বকাপ চলাকালীন আমরা বিভিন্ন এলাকার মধ্যে ফুটবল খেলা হতো আর তা নিয়ে মারামারি বা ঝগড়াঝাঁটি হতো। একবার আমার মামা রাগে আমাদের ফুটবল নিয়ে দা দিয়ে কুপদিয়ে কেটে ফেলে দিয়েছিলো এই ঝগড়াঝাঁটির জন্য। এভাবেই শৈশবের সমাপ্তি।
২০০৬ সালের বিশ্বকাপে কলেজ লেভেল শেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বছরে পড়ি তখন ব্রাজিল ফান্সের কাছে ১-০ গোলে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়ে তাই পরে আর বিশ্বকাপ দেখা হয়নি।
এর পর ২০১০ সালের বিশ্বকাপে তখন আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। এবারো ব্রাজিল লেদারল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়ে তাই পরে আর বিশ্বকাপ দেখা হয়নি।
২০১৪ সাল ছাত্র জীবন শেষে কর্মজীবন অবস্থায় বিশ্বকাপ দেখা। এই বার ব্রাজিল একটু ভালো খেলেছিলো। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার সাথে খেলার সময় নেইমারকে মারাত্মকভাবে ফাউল করা হয়। এর ফলে নেইমার সেমিফাইনালে আর খেলতে পারেনি। ব্রাজিল দলের মনোবল একেবারে ভেঙ্গে যায়। ফলে জার্মানির সাথে ৭-১ গোলে সেমিফাইনাল হারে।
২০১৮ সাল বিশকাপটা ছিলো খুব বাজে কারণ ব্রাজিল বেলজিয়াম কাছে ২-১ গোলে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়ে তাই পরে আর বিশ্বকাপ দেখা হয়নি। এইবার আর্জেন্টিনাও খুব বাজে খেলে ছিলো। তাই ফেসবুকে মেসিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে ছিলাম। তাই নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীরা বলেছি “স্যারদের এই ধরণের মন্তব্য করা ঠিক না।’’
সত্যি বলতে ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা টিম না থাকলে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ খেলা দেখে না।
২০২২ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল বাদ পড়ে যায়। এর পর থেকে আমি বলে আসছি আর্জেন্টিনা ফাইনাল পর্যন্ত খেলুক কারণ বিশ্বকাপের আনন্দ যেন আমাদের দেশে মাটি না হয়ে যায়।
ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা কাপ পেলে আমাদের দেশের কোন লাভ নেই কিন্তু এর সাথে একটি আবেগ জড়িত আছে। আমাদের জীবনের অধিকাংশ সময় আবেগের মধ্যদিয়ে কেটে যায়। অনেকে বুঝে উঠার আগেই ওপারে চলে যায়। আমাদের দেশে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার অনেক। কাল আবেগের জয় হোক এই প্রত্যাশা। ফুটবল জগতের বর্তমান নক্ষত্র মেসির হাতে কাপ উঠুক।
আমি আবেগ ছাড়াও আরেকটি বিষয় দেখি ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত থাকলে, বাংলাদেশে উৎসব মুখর পরিবেশ বজায় থাকে। এছাড়াও অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্য তার সাথে জড়িত।